চাঁদাবাজী নাকি ভিক্ষা? (Extortion or begging?)

 

চাঁদাবাজী নাকি ভিক্ষা?


সরকারী রাস্তা দখল করে শহরের প্রত্যেকটা বড় ছোট স্থানে অল্প পুজির মানুষেরা ভ্যানে বা কাটুনে করে কিছু না কিছু বিক্রি করছে। 

এই শহরে একটা টিকে থাকা দায়। সেখানে পরিবারের খরচ মেটাতে তাদের কিছু না কিছু ্একটা করতে হয়। কেউ হয়তো  রাস্তার পাশে ডিম বিক্রি করছে। কেউ আবার গার্মেন্টেসের পণ্য বিক্রি করে। কেউ ফুসকা বিক্রি করে। বিভিন্ন মানুষ বিভিন্ন পণ্য বিক্রি করে তাদের জীবন ধারন করছে। 

বর্তমান বাংলাদেশের দ্রব্যমূল্যের উর্দ্ধগতিতে শাক পাতা খেয়ে বেচে থাকতে হিমশিম খেয়ে যাচ্ছে মানুষ। কথায় আছে, “মরার উপর খারার ঘা”  এমনিতে জিনিসপত্রের দাম ক্রমেই বেড়ে চলছে। তার উপরে হরতাল, অবরোধ, শ্রমিকদের বেতন  বৃদ্ধির জন্য রাস্তা ঘাট বন্ধ । বাংলাদেশের সাধারন মানুষের শ্বাস বন্ধ হয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে। তার মধ্যে দুই একজন যা ও একটু কাজ করে খাবে তাদের উপর পুলিশ ও ক্ষমতাসীন দলের দৈনিক হপ্তা তো আর বন্ধ হয়নি। প্রতিদিন রাস্তার পাশের দোকান দার দের কাছ থেকে একজন সুঠাম দেহের কালো ভদ্রলোক এসেই বলল..দে।

অমনি ওখানে দোকানদার তার পকেট থেকে ১০০ শত টাকার একটা নোট বের করে দিয়ে দিল। এভাবে ওখানে থাকা সকল দোকানে গেল আর সেই দে বলতেই  সবাই টাকা বের করে দিয়ে দিচ্ছে।

কৌতুহলী হয়ে জিজ্ঞাসা করলাম আংকেল, আপনারা সবাই এই লোকটা কে টাকা দিলেন। কিসের টাকা দিলেন? চাচা আমার দিকে অবাক হয়ে আমার মুখের দিকে কিছুক্ষন তাকিয়ে নিজের কাজে মন দিল। 

আমার কৌতুহল আরো বেড়ে গেল আমার তার  পাশের সবজি ভ্যানের কাছে গিয়ে বললাম, ভাই ওই যে লোকটা টাকা চাইতেই আপনি ১০০ শত টাকার একটা নোট দিয়ে দিলেন। এটা কিসের জন্য দিলেন? আগের মতই এই ভাই ও আমার দিকে কিছুক্ষন তাকিয়ে বলল, আমরা এখানে দোকান  দিয়েছি তার হপ্তা। আমি বললাম, এটা কি প্রতিদিন দিতে হয়। তার দ্বীর্ঘ শ্বাসে বুঝতে পারলাম। 

এখানে যে লোকটা টাকা তুলছে। তাকে দেখে কখনও মনে হয়নি যে, সে কাজ করতে অক্ষম। তার সব কিছুই ঠিক আছে। সুস্থ সবল হওয়া স্বত্বেও তারা এখাবে টাকা তুলছে। সেটা কে আমি বা আপনারা কিভাবে দেখবেন আমি জানি না। সেটা কি চাঁদাবাজী নাকি ভিক্ষা?

রির্পোটঃ ড্রিম আইস

মন্তব্যসমূহ