সুন্দর কালো বউ। লেখকঃ রনো ইসলাম।

আমার মাথায় কি ভুত চাপছে যে, আমার এত সুন্দর কালো একটা বউ থাকতে আবার বিয়া করমু। তুই যে আমার সুন্দর কালো একটা বউ তোরে ছারা আর কেউরে মোর ভালই লাগে নারে।পর্ব- (০১)


ছবিঃ অনলাইন

৫ ফিট ৪ ইঞ্চি, সুঠাম গঠনে দেহে ঘাম যেন শিশির বিন্দুর মত টপটপ করে পড়ছে। পড়নের লুঙ্গিটাও বেশ পুরাতন হয়ে গেছে। সম্পূর্ণ গল্প পড়তে নিচের লিংকে ক্লিক করুনলুঙ্গির কোমরের অংশে লাল একটা গামছা দিয়ে কোমরটা খুব মজবুত করে বাধা। ডানে বামে দোল খেলেই সোহরাপ ভ্যান গাড়ি টেনে নিয়ে যাচ্ছে। সোহরাপের বয়স এই ছাব্বিশে পা দিল। তার বয়সী ছেলে মেয়েরা এখনও পড়াশোনা করে বাবার হোটেলে খাচ্ছে। কিন্তু সোহরাপকে অনেক আগেই সংসারের হাল ধরতে গিয়ে নিজের পড়াশোনা ছেড়ে দিতে হয়েছে। বাবা দিন মজুর একদিন কাজ করলে তিন দিন অসুস্থ হয়ে ঘরে পড়ে থাকতো। সংসারই চলতো না আবার পড়াশোনা তো অনেক দূর। সাত বছর আগে কোন এক শীতকালে বাবা-মা তাকে বিয়ে করিয়ে দিয়েছিল লতা নামের পাশের গ্রামের একটা মেয়ের সাথে। সোহরাপ আর লতার সংসার জীবন সাত বছর কেটে গেলেও এখন প্রযন্ত কোন বাচ্চা হয়নি। বাচ্চা হচ্ছে না তাই নিয়ে আশে পাশের মানুষ জন কানাকানি করলেও সোহরাপের তাতে কোন মাথা ব্যাথা নেই। সোহরাপের বাবা-মা ও মানুষজনের কথায় কোন পাত্তা না দিয়ে হাসি আনন্দেই দিন পাড় করছে। লতার নিজের কাছেই নিজেকে নিয়ে অনেক প্রশ্ন সাথে আবার ভয়। আমার কেন বাচ্চা হয়না? সমস্যা তার নিজের সে এটা ভেবেই মন মরা হয়ে দিন কাটাচ্ছে। অন্যদিকে তার গায়ের রং কালো। স্বামী যদি আর একটা বিয়ে করে। এই দুশ্চিন্তায় ও লতা বহুরাত না চোখের জল ফেলেছে।

অন্য দিনগুলোর মতই আজ দুপুরের দিকে বাড়িতে টোকার মুখে ভেন গাড়িটা রেখে বাড়ির ভেতর ঢুকলো। রানড়বা ঘরে একটু ঝুকে বলল, এইগুলা ধর।

লতা ও চুপ করে সোহরাপের হাত থেকে বাজারের ব্যাগ আর লাউটা নিজের হাতে নিয়ে পাশে রেখে চুলার মুখে খড় দিল।

সোহরাপ ঘর থেকে তাল পাতার পাখা নিয়ে রান্না ঘরে ফিরি পেতে বসে বলল, কি হইছে তোর? মন খারাপ করে বসে আছোস কেন?

লতার কোন উত্তর না পেয়ে, সোহরাপ আবার জিজ্ঞাসা করলো।

ভোন্দার মত বইয়া রইলি যে, মুই কি জিগাই তোর কানে যায়না?

লতা কোন উত্তর না দিয়ে ভাতের পাতিল নিয়ে সোহরাপকে পাশ কাটিয়ে ঘরে চলে গেল। সোহরাপও ওখানে বসেই নিজের মত করে হাত পাখা নাড়ছে। ঘরে ভাতের পাতিল রেখে যখন রান্না ঘরে আবার ঢুকতে যাবে এমন সময় সোহরাপ লতার হাত ধরে জিজ্ঞাসা করে।

কিরে আব্বায়- মায় কিছু কইছে?

কি হইবে আবার? কিছু হয় নাই। হাত ছারেন।

কিছু না অইলে তুই মুক কালা করে আচোস কেন?

ছারেন তো। বলে হাত ছাড়িয়ে লতা রান্না ঘরের ভিতর গিয়ে ফিরিতে বসে চুলার মখের খড় ভিতরে দিয়ে দিল।

চলবে.......

এর পরের পার্ট পড়তে ফলোএই লিংকে  ক্লিক করুন


https://dream2eyes.blogspot.com/p/categories.html?m=1

মন্তব্যসমূহ